প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে শেয়ার দর বাড়া-কমার যে সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৫০% নির্ধারিত ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে তালিকাভুক্ত অন্যান্য কোম্পানির জন্য যে নিয়মে সার্কিট ব্রেকার নির্দিষ্ট রয়েছে তা নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আজ ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অর্ডার জারি করা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আগে আইপিওতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে লেনদেনের কোন সার্কিট ব্রেকার ছিল না। পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে নতুন কোম্পানির শেয়ার দরের সার্কিট ব্রেকার প্রথম দিন ৫০% এবং দ্বিতীয় দিনে প্রথম দিনের ক্লোজ প্রাইজের ৫০% সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এতে আইপিও জয়ীরা প্রথমবারের মতো ধাক্কা খায়। কারণ আগে আইপিওতে জয়ী হলেই বিনিয়োগকারীরা ভালো একটি মুনাফা তুলতে পারতো। কিন্তু ৫০% সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সেই মুনাফায় ভাটা পড়ে।
এদিকে আজ বিএসইসি’র জারি করা এ নির্দেশনার পর দ্বিতীয় দফায় আইপিও জয়ীদের মাথায় হাত পড়তে যাচ্ছে। কারণ এখন থেকে লেনদেনের শুরুর দিন থেকেই অন্যান্য কোম্পানির মতো সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত হবে। এতে ১০ টাকা শেয়ারের একটি আইপিও মার্কেটে লেনদেন শুরু করার প্রথম দিন সর্বোচ্চ ১০% বা ১ টাকা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বুক বিল্ডিংয়ে আসা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের ওপর নির্ভর করে সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত হবে।
যেমন: ২০০ টাকা পর্যন্ত শেয়ার দরের কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার হবে ১০%। ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত শেয়ার দরের কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার হবে ৮.৭৫%। ৫০০-১০০ টাকা পর্যন্ত শেয়ার দরের কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার হবে ৭.৫০%। ১০০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত শেয়ার দরের কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার হবে ৬.২৫%।
২০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত শেয়ার দরের কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার হবে ৫%।
এবং ৫০০০ টাকার ওপরে পর্যন্ত শেয়ার দরের কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার হবে ৩.৭৫%।