দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ব্যাংক, নন ব্যাংক আর্থিক এবং বিমা খাতের ৮৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরের পতন হয়েছে। এদিন কমেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর। আগের কার্যদিবস থেকে এদিন লেনদেন পরিমাণও কমেছে। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে, এদিন (মঙ্গলবার) ৬২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৫৮ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সিএসইর ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়। এদিন উভয় স্টকের ২৮ দশমিক ৬১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ২৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সিএসইর ২৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের বাড়া-কমাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিন ডিএসইতে ব্যাংক, নন ব্যাংক আর্থিক এবং বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে। এদের মধ্যে ব্যাংক খাতের ৩৩টির মধ্যে ২৫টি বা ৭৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতের ২৩টির মধ্যে ২০টি বা ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং বিমা খাতের ৫৩টির মধ্যে ৪৬টি বা ৮৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এরপর এদিন জ্বালানি শক্তি, খাদ্য আনুষঙ্গিক, বিবিধ, আইটি, সিরামিক, সিমেন্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়। এদের মধ্যে জ্বালানি শক্তি খাতের ২৩টির মধ্যে ১৩টি, খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের ২১টির মধ্যে ১২টি, বিবিধ খাতের ১৪টির মধ্যে ৮টি, আইটি খাতের ১১টির মধ্যে ৭টি, সিরামিক খাতের ৫টির মধ্যে ৩টি, সিমেন্ট খাতের ৭টির মধ্যে ৫টি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ৪২টির মধ্যে ২৩টি কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে।
এদিন পাট, চামড়া, ভ্রমণ অবসর এবং টেলিকম খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এদের মধ্যে পাট খাতের ৩টির মধ্যে ২টি, চামড়া খাতের ৬টির মধ্যে ৪টি, ভ্রমন অবসর খাতের ৪টির মধ্যে ৩টি এবং টেলিকম খাতের ৩টির মধ্যে ২টি কোম্পানির শেয়ার দর উত্থন হয়েছে। পুঁজিবাজারের কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের হ্রাস স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। মতিঝিল এলাকার বেশকিছু সিকিউরিটিজ হাউজ ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ২২১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৬টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৬ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮৯ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২০ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে।
অপর পুঁজিবাজারে মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৮২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৫টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০২ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬০২ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৮ দশমিক ৮১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৬৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৩৭০ দশমিক ১৯ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৮৮ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে।