ফের চালু করার উদ্যোগ চলছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারাল্ড অয়েলের উৎপাদন। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে নতুন বছরের শুরুতে উৎপাদন চালু করা হবে। তবে সঠিক দিনক্ষণ এখনো জানায়নি কোম্পানিটি।
এর আগে বিদায়ী বছরের ১২ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোম্পানিটির উৎপাদন চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণায় কোম্পানিটির উৎপাদন ০১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎপাদন চালু করা যায়নি।
০১ সেপ্টেম্বর উৎপাদন চালু করতে না পারার কারণ হিসেবে এমারাল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স নবায়ন ও সংগ্রহ করতে পারেনি। একইভাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনঃতফসিল করা এবং শেয়ার হস্তান্তর কার্যক্রমও পিছিয়ে গেছে। এই বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে আরো সময় লাগবে। যে কারণে কোম্পানির পর্ষদ ০১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। ইস্যুগুলো নিষ্পত্তি করে উৎপাদন চালুর তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
এর আগে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাপানি নাগরিক মিয়া মামুনের কোম্পানি মিনোরি এমারাল্ড অয়েলের শেয়ার কেনা শুরু করলে আলোচনায় আসে শেয়ারবাজারে মন্দ কোম্পানি হিসাবে পরিচিত কোম্পানিটি। বন্ধ থাকা কোম্পানিতে জাপানি বিনিয়োগের খবরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিনিয়োগকারীরা। ক্রয়াদেশ ও দাম বাড়তে থাকে কোম্পানিটির শেয়ারের। বিদায়ী বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ডিএসইতে এমারাল্ড অয়েলের শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে ১৬ আগস্ট দর বেড়ে ৪২ টাকার উপরে উঠে যায়।