বিনিয়োগকারী, পলিসি হোল্ডার এবং সামগ্রিক পুঁজিবাজারের সুরক্ষার জন্য ফার ইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ১০ জন স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনীত এবং নিযুক্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১০ সদস্যের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ। এছাড়া অন্যান্য সদস্যরা হলেন: মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এফসিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এবং ইন্স্যুরেন্স বিভাগের প্রফেসর ড.মো: রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো: মোফাজ্জল হোসেন এনডিসি, কর্নেল (অবসর) গাজী মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, স্নেহাশীষ বড়ুয়া এফসিএস, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চীফ এডিটর মোজাম্মেল হক, গি সেভেন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সুজাদুর রহমান, জনতা ব্যাংকের ডিএমডি জিকরুল হক এবং নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের ফার ইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া যারা গত ১০ বছরে ফার ইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক অপরাধ এবং মানি লন্ডারিং করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আজ ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএসইসি বিনিয়োগকারী, পলিসি হোল্ডার এবং সামগ্রিক পুঁজিবাজারের সুরক্ষার জন্য ফার ইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১০ জন স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনীত এবং নিযুক্ত করেছে যারা কোম্পানির নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে। এছাড়াও কমিশন কোম্পানির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে অনতিবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ প্রদান করেছে। পুন:গঠিত পরিচালনা পর্ষদ ড. মোহাম্মদ রহমতউল্লাহকে বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড ২০১৮ পরিপালনা সাপেক্ষে শুধুমাত্র স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে একটি নিরীক্ষা কমিটি গঠন করবে ও একটি নমিনেশন ও রেমিউনিরেশন কমিটি গঠন করবে।
পুন:গঠিত পরিচালনা পর্ষদ আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোম্পানির শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পুন:গঠন করবে, করপোরেট ক্যাশ ও সম্পদ ফিরিয়ে আনবে এবং যারা গত ১০ বছরে ফার ইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক অপরাধ এবং মানি লন্ডারিং করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পুন:গঠিত পরিচালনা পর্ষদ এই মর্মে নিশ্চিত করবে যে, কোম্পানির সাথে তাদের কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক নেই এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড ২০১৮, বিমা আইন ২০১০ ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করবে।