স্টক ডিভিডেন্ড বা রাইট শেয়ার ইস্যুতে থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের যে দর নির্ধারিত হবে তাই ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হবে- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইস) এরকম নির্দেশনার পর বিনিয়োগকারীদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়টির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ ব্যাপারে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: রেজাউল করিম ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকমকে জানান, ধরা যাক একটা শেয়ারের দাম ১০০ টাকা, ফ্লোর প্রাইস রয়েছে ৯৫ টাকা। এখন ১০ শতাংশ বোনাস দেওয়ায় কোম্পানিটির থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর দর দাঁড়ালো ৯০ টাকা। তখন কোম্পানিটির পরবর্তী ফ্লোর প্রাইস দাঁড়াবে ৯০ টাকা।
আবার কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০০ টাকা, ফ্লোর প্রাইস রয়েছে ৮৫ টাকা। এখন ১০ শতাংশ বোনাস দেওয়ায় কোম্পানিটির থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর দর দাঁড়ালো ৯০ টাকা। তখন কোম্পানিটির পরবর্তী ফ্লোর প্রাইস দাঁড়াবে ৮৫ টাকা।
অর্থাৎ বোনাস ডিভিডেন্ড বা রাইট শেয়ার ইস্যুতে থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর যে দর নির্ধারণ হবে তা যদি ফ্লোর প্রাইস অতিক্রম করে তাহলে পূর্বের ফ্লোর প্রাইসই বজায় থাকবে। অন্যদিকে বোনাস ডিভিডেন্ড বা রাইট শেয়ার ইস্যুতে থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর যে দর নির্ধারণ হবে তা যদি ফ্লোর প্রাইস থেকে কম হয় তাহলে কম দরটিই নতুন ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হবে।