দেশের ২০টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রীন-সুকুক আল ইস্তিস্নার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ৭৪ শতাংশের বেশি সাবস্ক্রাইব করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, সুকুকের বাকি অর্থ এসেছে ব্রোকারেজ হাউজ, বীমা কোম্পানি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এবং অন্যান্য কর্পোরেট থেকে।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইব করেছে জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক। জনতা ব্যাংক করেছে ২২০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা এবং অগ্রণী ব্যাংক ১৫০ কোটি টাকা। এরপর ডাচবাংলা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা করে সাবস্ক্রাইব করেছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেক্সিমকো লিমিটেডকে পাঁচ বছরের মেয়াদে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দেয়। মোট অর্থের মধ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার সুকুক ইউনিট সাবস্ক্রাইব করার কথা ছিল। যার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা কোম্পানির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডার এবং ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা সাবস্ক্রাইব করার জন্য নির্ধারিত ছিল।
সুকুকটির সাবস্ক্রিপশন সময় ১৭-২৩ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। কিন্তু পাবলিক অফারের আন্ডার-সাবস্ক্রিপশনের কারণে বিএসইসি অফারের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের সুকুক ইউনিটগুলিকে ৫০ ইউনিট বা গুণিতকে সাবস্ক্রাইব করার বিধান করা হয় যার পরিমাণ ন্যুনতম ৫ হাজার টাকা।
সুকুকের মাধ্যমে সংগ্রহীত ৩ হাজার কোটি টাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়া বেক্সিমকোর বস্ত্র খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।
সুকুকের রিটার্ন ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মার্জিন যোগ করে ছয় মাস অন্তর বন্ডটিতে বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন দেওয়া হবে। বিনিয়োগকারীরা সুকুককে পাঁচ বছরের মেয়াদে বেক্সিমকো শেয়ারে রূপান্তর করতে পারবে।
সুকুকটির ইস্যু ম্যানেজার ছিল সিটি ব্যাংক কেপিটাল রিসোর্সের লিমিটেড এবং ট্রাস্টি ছিল ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)