পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীন ফোনের নতুন সিম বিক্রিতে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন) নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর কোম্পানিটির শেয়ার দরে ব্যাপক দরপতন হয়। যদিও বিটিআরসি গত ২৯ জুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
কিন্তু কোম্পানিটির শেয়ারে দরপতন শুরু হয় ২৬ জুন থেকে। শেয়ার দর ৩০৫ টাকা থেকে টানা ৬ কার্যদিবস পতনে ২৮২ টাকায় নেমে আসে। দুই শতাংশ সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমা না থাকলে এই ৬ কার্যদিবসে হয়তো গ্রামীন ফোনের শেয়ার দরের আরো ভয়ানক চিত্র দেখা যেতো। তবে আজ ৫ জুলাই টানা ৬ কার্যদিবস দরপতনের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে জিপি’র শেয়ার দর। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.০১ শতাংশ বা ৮.৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ ২৯১.১০ টাকায় লেনদেন হয়। আর এই দর বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে সামনে কোম্পানিটির অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রতি বছর জুলাই মাসের ১৫ তারিখে গ্রামীন ফোনের দ্বিতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশের সময় কোম্পানিটির কাছ থেকে ভালো পরিমাণ অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসে। সেই সূত্র ধরে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক আগামী ১৫ জুলাই প্রকাশ করবে গ্রামীন ফোন। এদিন কোম্পানিটির কাছ থেকে অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসবে সেই ধারণাই করছেন বিনিয়োগকারীরা। যেহেতু চলতি বছরের ১৫ জুলাই শুক্রবার পড়বে তাই, হয় ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার না হয় ১৭ জুলাই রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানির পক্ষ থেকে ডিএসই’তে বোর্ড সভার তারিখ জানানোর পরেই তা চূড়ান্ত হবে।
যেহেতু ঈদ-উল-আযহার পূর্ববর্তী আর মাত্র ২ কার্যদিবস বাকি রয়েছে এবং ঈদের পরপরই গ্রামীণ ফোনের বোর্ড সভা রয়েছে তাই এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী এ কোম্পানির শেয়ারের দিকে ঝুঁকছেন। যে কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৫ জুলাই গ্রামীন ফোন দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশের পাশাপাশি ১২৫ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৫ জুলাই কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশের পাশাপাশি ১৩০ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। তাই চলতি বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে গ্রামীন ফোনের কাছ থেকে অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসবে সেই ধারণাই করছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে যেহেতু মোবাইল ফোন কোম্পানির মূল ব্যবসা সিম বিক্রি থেকে আসে। তাই সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা না উঠালে কোম্পানিটির আয় অনেক কমে যাবে। অন্যদিকে ব্যয়ের পরিমাণ চক্রাকারে বাড়তে থাকবে। এক সময় লোকসানে পড়ে যাবে গ্রামীন ফোন। তখন হয়তো অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ডতো দূরের কথা কোম্পানিটি চূড়ান্ত ডিভিডেন্ডও দিতে পারবে না।