অনুসন্ধানী রিপোর্ট

নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধান খুব শীঘ্রই-বিএসইসি

Written by sharebazarU

অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যা থেকে বের হতে পারেনি। আর এই নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধান খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই করা হবে বলে আশা প্রকাশ করছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির পক্ষ থেকে নেগেটিভ ইক্যুইটি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের স্পষ্টীকরণ প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএসইসি পুঁজিবাজারের নেগেটিভ ইক্যুইটি বা ঋণাত্মক মূলধনের সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে নেগেটিভ ইক্যুইটি একাউন্টের সব শেয়ার বিক্রি করে এবং মূল কোম্পানি থেকে তার সাবসিডিয়ারিকে বাড়তি মূলধনের যোগান দিয়ে এ সংকট থেকে বের হয়ে এসেছে। তবে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যা থেকে বের হতে পারেনি। কমিশন আশা করে স্বল্পতম সময়ে বাকি থাকা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখিত সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

নেগেটিভ ইক্যুইটি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর পরিমাণ ও সংখ্যা সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ নেগেটিভ ইক্যুইটি শূণ্য শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ সম্বলিত যে সংবাদ প্রকাশিত হয় তা বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে যা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অন্তরায়।

বিএসইসি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার এর মার্জিন হিসাব ও মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব ও মক্কেলের পোর্টফোলিও পুন:মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ ৭ম বারের মতো ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বর্ধিত করে। জানুয়ারি,২০২০ সালের পরে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন কর্তৃক আর কোন নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি।

About the author

sharebazarU

Leave a Comment