শেয়ারবাজারে সদ্য আইপিও’র অনুমোদন পাওয়া জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড মুন্সিগঞ্জে কারখানা এলাকায় উচ্চমূল্যে জমি ক্রয়ের প্রস্তাব করেছে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ হতে এই ৫০ ডেসিমল জমি ও জমির উন্নয়নবাবদ ৭.৮৭ কোটি টাকা ব্যয় করবে কোম্পানিটি। অল্পদিনের মধ্যেই এই জমিগুলো ক্রয় সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির নিজস্ব ৩৯৪ ডেসিমল জমি রয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রমসহ এসব জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
কোম্পানির নিজস্ব মূল্যায়ন অনুযায়ী, এসব জমির ডেসিমল প্রতি বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে একই এলাকায় আরো ৫০ ডেসিমল জমি কিনবে। এসব জমির উন্নয়নসহ ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৭.৮৭ কোটি টাকা। এতে প্রতি ডেসিমল জমির দাম পড়বে ১৫ লাখ টাকার উপরে।
এ জমিগুলাের অবস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার ভিটিকান্দি এলাকায় জেএমআইয়ের কারখানা সংলগ্ন। এসব জমি ২০১০ হতে ২০১৩ সালে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনেক কম দামে কেনা হয়েছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, এই এলাকায় জমির বিক্রেতা নেই বললেই চলে। তবে বিক্রেতা কম হলেও জমি দর ১৫ লাখ টাকা ডেসিমল হয় না। এখানে জমি কেনা-বেচার অলিখিত শর্ত হলো: নির্ধারিত ক্রেতা ছাড়া মালিকরা জমিই বিক্রি করতে পারেন না। কোম্পানিটির জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই সুবিধা নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে।
কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কোম্পানিটির নামে ৩৭০ ডেসিমল জমি রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় রয়েছে দুটি প্লট/ফ্লাট। এসব জমি ও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দাম ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। জমির উন্নয়ন কার্যকম বলতে সাইন বোর্ড, মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীরকে বোঝানো হয়ে থাকে।
জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড শেয়ারবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা ইত্তোলন করবে। এই অর্থ থেকে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে। আর ৪৫ কোটি টাকা জমি, ক্রয়, ভবন নির্মাণসহ বিএমআরই প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা দিয়ে প্রকল্প এলাকায় ৫০ ডেসিমল জমি ক্রয়ের প্রস্তাব করেছে কোম্পানিটি। অর্থ্যাৎ এক ডেসিমল জমির ক্রয়ের প্রস্তাবিত মূল্য ধরা হযেছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
আর এসব জমি ক্রয় করা হবে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের ৯০ দিনের মধ্যেই।
এছাড়াও কোম্পানিটির আইপিও পক্রিয়ার খরচ ধরা হয়েছে প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক ফি বাদ দিয়ে এই খরচকেও বর্তমান বাজার মূল্য বিবেচনায় অতি মূল্যায়িত করা হযেছে।