কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২১ পয়সা। সে বছর ৩ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয় শেয়ারে ৩০ পয়সা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম আগের বছরের তুলনায় ছয় গুণ আয় করার পর লভ্যাংশ কমিয়ে তিন ভাগের এক ভাগ করেছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ২০ পয়সা করে।
এই লভ্যাংশ কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন। উদ্যোক্তা-পরিচালকরা এ বছর কোনো লভ্যাংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২১ পয়সা।
ওই বছর এবারের তুলনায় ছয় ভাগের এক ভাগ আয় করলেও লভ্যাংশ বেশি দেয়া হয়। বিনিয়োগকারীরা তখন শেয়ারে পান ৩০ পয়সা, পাশাপাশি ৩ শতাংশ দেয়া হয় বোনাস লভ্যাংশ, অর্থাৎ মোট লভ্যাংশ ছিল ৬ শতাংশ, যা এবারের প্রস্তাবিত লভ্যাংশের তিন গুণ।
কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত বছরের জুন শেষে শেয়ার প্রতি ২৭ টাকা ৬০ পয়সা সম্পদ ছিল। এক বছর পরের জুনে তা দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১০ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৮ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর।
বিডি থাইয়ের আয় বেড়ে ছয় গুণ, লভ্যাংশ কমে শেয়ারে ২০ পয়সা
১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর থেকেই প্রত্যাশিত আয় করতে পারছিল না। এ কারণে শেয়ার মূল্যও ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে।
২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি (সে সময় অর্থবছর পুনর্নির্ধারণের জন্য দেড় বছর সময় পায় কোম্পানিটি) ৩ টাকা ২০ পয়সা আয় করে বিডি থাই। পরের বছর আয় নেমে আসে শেয়ারে ৭১ পয়সা।
২০১৮ সালে সে আয় কিছুটা বেড়ে হয় শেয়ারে ১ টাকা ২ পয়সা। তবে ২০১৯ সালে আবার কমে হয় ৫৬ পয়সা আর ২০২০ সালে এর থেকেও ২৫ পয়সা কমে যায় আয়।
তবে ২০২০ সালের জুলাই থেকে কোম্পানিটি আবার আয় বাড়ার ইঙ্গিত দিতে থাকে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ২৬ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩৭ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আয় করে ৪১ পয়সা।
তিন প্রান্তিকে ১ টাকা ৩ পয়সা আয় করার পর চতুর্থ প্রান্তিকে এসে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত গোটা অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় হয়। এ সময় তারা শেয়ার প্রতি কেবল ২২ পয়সা আয় করতে পারে।
আয় বাড়তে থাকায় কোম্পানির শেয়ারমূল্যও বাড়তে থাকে। গত বছর জুলাইয়ে যে শেয়ার ১০ টাকায় লেনদেন হতে থাকে, সেটি চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে ৩২ টাকা ২০ পয়সায় উঠে যায়। কিন্তু এরপর আবার এপ্রিলের শুরুতে ১৮ টাকা ১০ পয়সায় নেমে আসে। এরপর অক্টোবরের শুরুতে তা আবার ৩০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে এরপর থেকে আবার দর কমে এখণ দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৪০ পয়সায়।