করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আজ থেকে আগামী এক সপ্তাহ লকডাউন দিয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা ভেবে ব্যাংকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তবে লকডাউনের কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় কমানো হয়েছে। এতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের অফিসের কর্মঘণ্টাও কমেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিলছে হোম অফিসের সুযোগ। ব্রোকার হাউজগুলোতে এই নিয়ম মেনে কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমাদের ৫০ শতাংশ লোক একদিন উপস্থিত হচ্ছেন। বাকি অর্ধেক বাসায় থাকছেন। পরবর্তীতে দিনে বাসায় যারা কাজ করেছেন তারা অফিসে আসছেন আর অন্যদল হোম অফিস করছেন। স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, আমাদের হোম অফিস সিস্টেম চালু হয়েছে। তবে কি পরিমাণ লোক বাসায় আর কি পরিমাণ অফিসে কাজ করছেন তা এখন বলা সম্ভব নয়।
এদিকে দেশে চলমান লকডাউনের কারণে ব্যাংক সীমিত সময়ের জন্য চালু রাখার সিদ্ধান্তের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের অনলাইন প্লাটফর্মে লেনদেন করার বিষয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের দাপ্তরিক সময়সূচি সকাল ৯.৩০ মিনিট হতে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।