দীর্ঘ পতনের পর অবশেষে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন থেমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।এই পদ্ধতি গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।ফলে গতকাল বুধবার পুঁজিবাজারে মূল্য সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। কাল ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৫৫ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে কাল।
এরআগে পুঁজিবাজারে লাগামহীন পতন ঠেকাতে মঙ্গলবার বিএসইসি দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার দর সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ পর্যন্ত। আর শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ।
বুধবার ডিএসইতে ৭৭৩ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা বেশি। মঙ্গলবার ডিএসইতে ৭৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বুধবারের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬৩০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে।
বুধবার ডিএসইতে ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬৫টির, কমেছে ৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে গতকাল। এছাড়া গতকাল সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২৪ পয়েন্ট বেড়েছে। বুধবার সিএসইতে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বাজারের এই গতিতে সন্তুষ্ট বিনিয়োগকারীরা।বিনিয়োগকারীদের একজন হুমায়ুন কবির গতকাল পুঁজিবাজার একপ্রেসকে বাজার এর এই গতিতে সন্তুষ্টির কথা জানান।পাশাপাশি বাজারের সূচক ধরে রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নিতে বিএসইসিকে অনুরোধ করেন।
পুঁজিবাজারএক্সপ্রেস/কেএ/