প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) জন্য যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় বিডি পেইন্টস লিমিটেডের আইপিও বাতিল করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরবর্তীতে কোম্পানিটি পুনরায় আইপিও অনুমোদনের জন্য প্রসপেক্টাস জমা দিয়েছে। কিন্তু দাখিলকৃত প্রসপেক্টাস সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও কাল্পনিক বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অভিযোগ দিয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মার অর্ধাংশের মালিক দাবিদার এ, এফ, এম সানোয়ারুল হক (সগির)।
সম্প্রতি দাখিলকৃত তার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বিডি পেইন্টস বরিশাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: বেলাল খান ও তার সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের অন্যান্য কতিপয় সদস্যের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসইসিতে তালিকাভুক্ত হয়ে শেয়ার মার্কেট থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাতের প্রচেষ্টা করছে।
বিডি পেইন্টস বিসিক শিল্পনগরী কাউনিয়া বরিশালে অবস্থিত একটি রং প্রস্তুত এর অখ্যাত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি মাত্র চার/পাঁচ বৎসর পূর্বে বিসিক শিল্পনগরীতে কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালে স্বল্প পরিসরে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে ও ২০২০ সালের মাঝামাঝি এর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কারণ বাজারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিন রং এর চাহিদা না থাকা এবং গুণগত মান ঠিক না থাকার জন্য ক্রেতা সাধারণ এর নিকট গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়া। সর্বোপরি মূল কারণ হলো এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে শেয়ার মার্কেট থেকে আইপিও’র মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা। যখন তাদের আইপিও তালিকাভুক্তির আবেদন বিএসইসি প্রত্যাখ্যান করে দেয় সেই মাসেই তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে মাস দুয়েক হলো প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ খুবই স্বল্প পরিসরে কারখানাটি চালু করেছে, পুনরায় শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়ার আবেদন করার জন্য।
বিডি পেইন্টস লিমিটেড বরিশাল কাউনিয়া বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত। বিসিক শিল্প নগরীর জমির মালিকানা বিসিকের। তারা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে শিল্প স্থাপনের জন্য মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার জন্য জমি লীজ প্রদান করে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রতি মাসে বিসিককে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ প্রদান করিতে হয়। বিসিক এর সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের লীজ চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। সেই চুক্তিপত্রের শর্তসমূহ সঠিকভাবে প্রতিপালিত না হলে বিসিক লীজ চুক্তিপত্র বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের লীজ চুক্তিপত্র বাতিল করা হলে বিসিক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনাদি লীজকৃত জমি থেকে সরিয়ে ফেলতে হয়, অন্যথায় উক্ত স্থাপনাদি বিসিক বাজেয়াপ্ত বা ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে। সুতরাং বিডি পেইন্টস এর প্রসপেক্টাসেস জমি ও দালানদিও যে সম্পদ দেখানো হয়েছে তা ১০০% ঝুঁকিপূর্ণ।
তেমনি একই ভাবে বিডি পেইন্টস এর আরেকটি কারখানা ও কর্পোরেট অফিস গাজীপুরে ভাড়াকৃত জমিতে অবস্থিত। সেটিও একই রকম ঝূঁকিপূর্ণ। যেখানে একটি প্রতিষ্ঠানের মূল সম্পদ জমি ও স্থাপনাদি ঝূঁকিপূর্ণ সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝূঁকিপূর্ণ।
বিডি পেইন্টস শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য দাখিলকৃত প্রসপেক্টাসে যে সম্পদ বিবরনী দাখিল করিয়াছে তাহা সম্পূর্ন বানোয়াট ও কাল্পনিক যার বিবরণ নিম্নরুপ:
১) সম্পদ বিবরনীতে জমি উন্নয়ন বাবদ ১,১৭,২১,৫৫৩/-(এক কোটি সতের লক্ষ একুশ হাজার পাঁচশত তিপ্পান্ন মাত্র) সম্পদ হিসাবে দেখানো হয়েছে। যাহা বোধগম্য নয়। কারন বিডি পেইন্টস প্রতিষ্ঠিত ভারাকৃত জমির উপর, যে জমির মালিকই বিডি পেইন্টস নয় সেই জমির উন্নয়ন ব্যয় বিডি পেইন্টস এর সম্পদ হিসাবে কিভাবে। ইহা ছাড়া বিডি পেইন্টস বরিশালস্থ বিসিক শিল্প নগরীর যে প্লটে প্রতিষ্ঠিত সেই প্লট দুটিতেই বহু পূর্ব হইতে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত ছিল। উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের বরাদ্ধকৃত জমির লীজ চুক্তি বাতিল করে বিডিপেইন্টস এর অনুকুলে উক্ত জমির লিজ প্রদান করা হয়। উক্তপ্লট সমূহ বহু পূর্ব হইতেই ভরাটকৃত উচু জমি। কেবলমাত্র সম্পদের পরিমান বাড়িয়ে দেখানোর জন্য ভুমি উন্নয়ন ব্যয় সম্পদ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
২) বিডি পেইন্টস এর প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত সম্পদ বিবরনীতে ফ্যাক্টরী ইকুইপমেন্ট ও ল্যাবরেটরী ইকুইপমেন্ট হিসাবে ৯,৫৫,৬২,৫১৭/- (নয় কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ বাষট্টি হাজার পাঁচশত সতের টাকা মাত্র) এবং মেশিনারী ও ইকুইপমেন্ট ১৯, ৬৮,৫৪,৬৬৭/- (উনিশ কোটি আটষট্টি লক্ষ চুয়ান্ন হাজার ছয়শত সাতষট্টি টাকা মাত্র) দেখানো হয়েছে। এখানে চতুরতার মাধ্যমে একবার ফ্যাক্টরী ইকুইপমেন্ট পূনরায় মেশিনারী ও ইকুইপমেন্ট হিসাবে দেখানো হয়েছে। অর্থ্যাৎ এক কুমিরের ছানা বার বার দেখানো হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মেশিনারী ও ইকুইপমেন্ট আমদনী ও ক্রয়ের বিলগুলি পর্যালোচনা করিলেই ইহার সত্যতা প্রমান হইবে।
৩) বিডি পেইন্টস এর প্রসপেক্টাসে সম্পদ বিবরনীতে ভেইক্যাল এর মূল্য ৮৬,৬৮,২০৮/- (ছিয়াশি লক্ষ আটষট্টি হাজার দুই শত আট টাকা মাত্র)। যাহা সম্পুর্ন বানোয়াট। ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যোলস এর একটি পুরানো ভেইক্যাল রং করে বিডি পেইন্টস এর নাম লিখে বিডি পেইন্টস এর ভেইক্যাল হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিডি পেইন্টস প্রসপেক্টাসে সম্পদ হিসাবে উল্লেখিত ভেইক্যাল সমূহের কাগজপত্র যাচাই করিলেই এর সত্যতা প্রমান হইবে।
বিডি পেইন্টস বরিশালস্থ বিসিক শিল্প নগরীতে ২০১৬ সালে কারখানা বিল্ডিং স্থাপনের কাজ শুরু করে এবং ২০১৭ সালে কারখানা মেশিনারী স্থাপনের কাজ শেষ করে। বিএসইসি তে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বিডি পেইন্টস যে প্রসপেক্টাস দাখিল করেছে সেখানে ২০১৫সাল থেকে আর্থিক হিসাব বিবারনী প্রকাশ করেছে এবং আর্থিক হিসাব বিবারনীতে ২০১৫সাল থেকে বিডি পেইন্টস এর উৎপাদিত পন্য বাজারে বিক্রি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিপুল আয় দেখানো হয়েছে। যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। যে প্রতিষ্ঠানটি কারখানা স্থাপন ও মেশিনারী স্থাপনের কাজ শেষ করে ২০১৭ সালে, সেই প্রতিষ্ঠান কিভাবে ২০১৫সালে পন্য ইৎপাদন ও বাজারজাত করিল তাহা বোধগম্য নহে।
বিডি পেইন্টস এর প্রসপেক্টাসে আর্থিক হিসাব বিবারনীতে আয় ব্যয়ের হিসাবে বাৎসরিক যে বিক্রয় বিবরনী প্রদান করা হয়েছে তা কেবল মাত্র আষাড়ে গল্প ও আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র। এই গোজামিল বিক্রয় বিবরনীতে তারা মূসক সংক্রান্ত কোন তথ্যই প্রদান করে নাই। কিন্তু উৎপাদিত পন্য বিক্রয়ে অবশ্যই মূসক প্রদান করিতে হয়। তাই বিডি পেইন্টস এর ২০১৫সাল হইতে মূসক প্রদানের তথ্যসমূহ যাচাই করিলেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের সত্যিকার বিক্রয় চিত্র প্রকাশ পাইবে।
বিডি পেইন্টস প্রসপেক্টাসে দেনাদারদের যে বিবারনী দিয়াছে তাহা সম্পুর্নই ভুয়া ও বানোয়াট। কারন বরিশালেই যে কয়েকটি পার্টির নিকট যে পরিমান টাকা পাওনা দেখানো হয়েছে সেই সকল পার্টির দোকান সহ দোকানের সকল পন্য মিলিয়েও সেই টাকার অর্ধেক মূল্য হবেনা। বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই করার আবেদন জানাইতেছি।
বিএসইসি তে বিডি পেইন্টস তালিকাভুক্ত করে বাজারে শেয়ার ছেড়ে কেবলমাত্র সাধারন বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করাই মোঃ বেলাল খান ও তার সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের উদ্দেশ্য তা তাদের বানোয়াট প্রসপেক্টাসই উল্লেখিত আছে। যাহা নিম্নে বর্ননা দেওয়া হইলঃ
০১) প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দিকা এর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতার বিবরন সম্পুর্ন ভুয়া, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এ, এফ, এম আনোয়ারুল হক (সাব্বির) এর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা এক জন বি,এ পাশ ও ২০১৭সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বরিশাল জেলার প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিল। ইহা ছাড়া তিনি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এর একজন পরিচালক।
০২) প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ বেলাল খান ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এর একজন উদ্যেগক্তা শেয়ারহোল্ডার এবং প্রতারক চক্রের মূলহোতা। তাহার বিরুদ্ধে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল ওযার্কস এর অর্ধাংশের মালিক এ, এফ, এম সানোয়ারুল হক (সগির) এর সম্পত্তি জালিয়াতির কারনে বরিশাল বিজ্ঞ চিফ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা চলমান যাহার নম্বর ২৭৬/২০২০ (কপি সংযুক্ত)। বিএসইসিতেও তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে, যা তদন্তাধীন (কপি সংযুক্ত)।
০৩) বিডি পেইন্টস এর প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত পরিচালক মোঃ মারুফুল ইসলাম তুরান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ বেলাল খান এর শ্যালক। তাহাকে আই, বি, পি এগ্রোভেট লিঃ এর প্রতিনিধি হিসাবে দেখানো হয়েছে যা সম্পূর্ন ভুয়া। কারন বাস্তবে আই, বি, পি এগ্রোভেট লিঃ নামক কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই। ইহা কেবলমাত্র একটি প্যাড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান।
০৪) প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস মিম ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ বেলাল খান এর স্ত্রী। তাহাকে সাবিলা সী ফুড লিঃ এর প্রতিনিধি হিসাবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্বই নেই। ইহাও কেবল মাত্র একটি প্যাড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান।
০৫) বিডি পেইন্টস এর উদ্যেক্তা শেয়ারহোল্ডার শাহানাজ আক্তার ও আমিন-উর-রশিদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ বেলাল খান এর বোন ও ভগ্নিপতি। তাহারা উভয়ই ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর পরিচালক (কপি সংযুক্ত)।
০৬) প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত শেয়ারহোল্ডার লিষ্টে ২০নং শেয়ারহোল্ডার এ, এফ, এম আনোয়ারুল হক (সাব্বির) (শেয়ার ৫০০৫০০) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ৩২ নং শেয়ারহোল্ডার জান্নাতুল মারজান (সাবিলা) (শেয়ার ২১৬৫০০) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ, এফ, এম আনোয়ারুল হক (সাব্বির) এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর পরিচালক ও বিডি পেইন্টস এর চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দিকা এর একমাত্র কন্যা সস্তান, যিনি একজন “মাইনর” কাস ফাইভ এর শিক্ষার্থী। ২৮ নং শেয়ারহোল্ডার মিজানুর রহমান (শেয়ার ২৮০০০০০) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর একজন পরিচালক। প্রকৃতপক্ষে তিনি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর বরিশাল অফিসের একজন অফিস পিওন হিসাবে বর্তমানেও কর্মরত (কপি সংযুক্ত)। ৩৩ নং শেয়ারহোল্ডার জান্নাতুল ফেরদৌস মিম (শেয়ার ২১৫০০০) বিডিপেইন্টস এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ বেলাল খান এর স্ত্রী এবং তিনি নিজেও সাবিলা সী ফুড লিঃ এর প্রতিনিধি হিসাবে বিডি পেইন্টস এর একজন পরিচালক।
বিডি পেইন্টস বিএসইসি তে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হিসাবে তালিকাভুক্তির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মোঃ বেলাল খান ও এ, এফ, এম আনোয়ারুল হক (সাব্বির) চক্রের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে জনগনের টাকা আত্মসাত করা। ইতিপূর্বে এই চক্রটি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর শেযার বিক্রি করে জনগনের টাকা আত্মসাত করেছে। যা ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল বিএসইসিতে তালিকাভুক্তির পূর্বে প্রমানসহ বহু অভিযোগ দাখিল এবং অবৈধ ঔষধ উৎপাদনের কারনে উক্ত প্রতিষ্ঠানে র্যাবের অভিযান পরিচালনার খবর বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারের পরও (কপি সংযুক্ত) বিএসইসি এর তৎসময়ের কতিপয় কর্মকর্তা অবৈধ ভাবে লাভবান হইয়া উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সাধারন বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ করিয়া দেয়। তেমনি সেই একই চক্র বিডি পেইন্টস পূনরায় তালিকাভ’ক্তির চেষ্টায় লিপ্ত। উপরোক্ত বক্তব্যসমূহ যাচাই করিলেই দেখা যাবে যে বিডি পেইন্টস ও ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর পরিচালক, উদ্যোগক্তা ও শেয়ারহোল্ডাররা একে অপরের আত্মীয় স্বজন ও স্বামী স্ত্রী অর্থাৎ এক রসুনের কোয়া।
এ ব্যাপারে বিডি পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: বেলাল খান ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকমকে জানান, আমরা আইপিও’র জন্য প্রসপেক্টাস জমা দিয়েছি। কমিশন আবেদন বাতিল করে দেওয়ার পর পরবর্তীতে আবার রিভিউ করার জন্য আবেদন জমা দেই। কিন্তু ইতিমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ মুহূর্ত্বে আইপিওতে আসবো না। তাই পরবর্তীতে জমাকৃত আইপিও আবেদন আমরা বিডি পেইন্টসের পক্ষ থেকে উঠিয়ে নিয়েছি।