ব্রোকারেজ হাউজগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই)।বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে লেনদেন করেন ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে। গত কয়েক বছরে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজির সুরক্ষায় হাউসগুলোর ওপর নজরদারির তাগিদ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ঠেকাতে তাই কঠোর হচ্ছে ডিএসই।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি তিন মাস অন্তর সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের তথ্য ডিএসই’তে প্রেরণের জন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে ডিএসই।গত কয়েক বছরে তামহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ও বানকো সিকিউরিটিজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম এবং জালিয়াতি ঘটে।
এর পর ডিএসই ও সিএসই‘র সব ব্রোকারেজ হাউজ পরিদর্শন ও তদন্তের নির্দেশনা দেয় বিএসইসি।এরই ধারাবাহিকতায় তদন্তসাপেক্ষে ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে বড় অঙ্কের ঘাটতি পাওয়া যায়। এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮৫ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।