বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ে বাজার কাপানো কম হয়নি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ খাতের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিলো বিনিয়োগকারীদের। কারসাজির মাধ্যমে কোনো কোনো কোম্পানির দাম অস্বাভাবিক বাড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সোমবার থেকে এ খাতের শেয়ারে ব্যাপক অনাগ্রহ দেখা গেছে।আজ মঙ্গলবার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। এ খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে এদিন দর বেড়েছে মাত্র তিনটির। দর কমেছে ৪৭টি। অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির দর।
বাজার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এক মাস আগেও এই খাতে দিনে সাতশ থেকে নয়শ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। সেটি এখন ১৬৯ কোটিতে নেমেছে।
গত দুইদিনে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে নেমেছে ৪১ টাকায়। অর্থাৎ ৬.৩৯ শতাংশ দর হারিয়েছে।
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬.১০ শতাংশ। ৬০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫৬ টাকা ৯০ পয়সা।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ১০৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫.৭৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা।
গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ১২০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৫.৩২ শতাংশ কমে হয়েছে ১১৩ টাকা ৭০ পয়সা।
৫ শতাংশ পর্যন্ত দর কমেছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। এদিন চার শতাংশ পর্যন্ত দর কমেছে ১৪টি কোম্পানির। এর মধ্যে ১০টি ছিল বীমা খাতের। এগুলো হচ্ছে পিপলস ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, নর্দান ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স।
তিন শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর কমেছে আটটি বীমা কোম্পানির।
তবে বীমা খাতের পতনের দিনে চমক দেখিয়েছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির শেয়ারদরে মূল্যসীমা না থাকার এই চমক হয়েছে।সোমবার দিনের শুরুতে ৬০ টাকায় লেনদেন শুরু করলেও ক্লোজিং হয়েছে ৮৬ টাকা ৫০ পয়সায়।মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ৮৬টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন শুরু হলেও দিনশেষে ৮১ টাকায় গিয়ে ক্লোজিং হয়েছে।সোমবারের আগের কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং ছিলো ১৬ টাকা।
অবশ্য ২০২০ সালের জন্য শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ আর ২০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণায় সোনালীর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের।