বৈশ্বিক সংকটকে অনেকটা উপেক্ষা করেই ব্যাপকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার। বড় উত্থান ঘটেছে সব সূচকে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ২ শতাংশের উপরে বেড়েছে প্রতিটি মূল্যসূচক।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পশ্চিম ইউরোপের সব পুঁজিবাজারও উর্ধমুখী ধারায় ছিল কাল।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের প্রধান মূল্যসূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক নাসডাক। এই সূচকটি ৩ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৩৫৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।
এদিন এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১০৫ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৯৩৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট হয়েছে। সূচক বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
অন্যদিকে ডাওজোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচকটি মঙ্গলবার ৭৫৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট (২.৪৩%) বেড়ে ৩১৮২৭ দশমিক ০৫ পয়েন্ট হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মূলত দুটি কারণে বাজার এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথমত: বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশের বিশ্বাস, সূচক কমতে কমতে প্রায় তলানীতে নেমেছে। আর পতনের তেমন জায়গা নেই। এই বিশ্বাসে তাদের কেউ কেউ বাজারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। আবার একই বিশ্বাসের কারণে অনেকে শেয়ার বিক্রি না করে পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করছেন। এতে একদিকে সরবরাহ কমেছে, অপরদিকে বেড়েছে চাহিদা। এর প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দামে।
অন্যদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রান্তিক প্রতিবেদনের ফলাফলও বিনিয়োগকারীদের উজ্জীবিত করেছে। সঙ্কটের মধ্যে অনেক কোম্পানির আয় বেড়েছে। আবার কোনো কোনো কোম্পানির আয় কমলেও তা ছিল বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের ধারণার চেয়ে কম। এছাড়া জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম নেটফ্লিক্স এর গ্রাহক হারানোর সংখ্যাও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। খোদ নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষের আভাস ছিল, সর্বশেষ প্রান্তিকে তাদের ২০ লাখের মতো গ্রাহক কমে যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে গ্রাহক কমেছে সাড়ে ৯ লাখ। এতে প্রযুক্তি খাতের শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছেন।