অব্যাহত দরপতনে অস্থির হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা। আজ মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বেশিরভাগ শেয়ার দর কমার পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনেও রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। দিন শেষে আজ ৭.৫২ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। এতো অব্যাহত দরপতনের পরেও নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জানা যায়, ১৫ নভেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৫৬ শতাংশ বা ৩৫.১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১৮.৩২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৭.৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৫৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৮৩.০৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৯ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪ টির, কমেছে ৬১ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৪ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৭.৫২ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৭ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৮৮৩টি শেয়ার ১ লাখ ৮ হাজার ৯৯১ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৯২ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৮১ শতাংশ বা ৫১.৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ৬ হাজার ২৫৩.৪৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১ হাজার ৩৫৮.৭৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪.৯১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ২ হাজার ১৯৮.৫৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৪২ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৮ টির, কমে ৬৮ টির এবং অপরিবর্তিত রয় ২৫৬ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গতি কার্যদিবসে ৫.২৬ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। সারাদিনে ডিএসইতে ৯ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮টি শেয়ার ১ লাখ ২১ হাজার ৫২৪ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
সে হিসেবে আজ লেনদেন কমেছে ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.২৬ শতাংশ বা ৪৮.৭৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১৮ হাজার ৪৮২.১২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ১৩০ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ টির, কমেছে ৪৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৫ টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৪৯২ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৬ লাখ ৬১ হাজার ৯২৬ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬৬ টাকা।