সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের ৬ কোম্পানি সমাপ্ত সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে-
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৬৪৬ কোটি ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯১ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০ কোটি ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২১৫ টাকা। গত বছর একই সময় কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ৬১৬ কোটি ২৮ লাখ ১ হাজার ৪৬৭ টাকা।
এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫.১৭ টাকা।
আর দুই প্রান্তিক মিলে অথাৎ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১.৩৪ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২০.৩৪ টাকা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্মূল্যায়ন করা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮৭.৯৪ টাকা। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ২৬১.৯২ টাকা।
এছাড়া অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির নিট অপারেটিং ক্যাশফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৭.৮৯ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ঋণাত্মক এনওসিএফপিএস ছিল ৪.৭৫ টাকা।
আমান ফিড মিলস লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় ছিল ৮৫ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ৩৫ টাকা ৬৯ পয়সা।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ২ টাকা ৭৯ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৫৭ টাকা ২২ পয়সা।
ফ্যামিলি টেক্স বিডি লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
প্রথম প্রান্তিক
প্রথম প্রান্তিক (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান বা ইপিএস হয়েছে ০.০৭২ পয়সা। আগের বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় ছিল ০.০০৬ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ১১ টাকা ৪১ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিক
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান বা ইপিএস হয়েছে ০.০৬২ পয়সা। আগের বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান ছিল ০.০০৩ পয়সা।
চলতি হিসাবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ০.০০৪ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয় ১১ টাকা ৪১ পয়সা।
তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ০.০৪ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে ইপিএস হয়েছে ০৮ পয়সা।
একই সময়ে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় ছিল ২২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৫৮ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা।
৬ মাসে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় ছিল ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
৩১ ডিসেম্বর,২০২০মাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। আর আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানির এনএভি হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা।
সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ২৩ পয়সা।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৫১ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ৬৪ পয়সা।